Wednesday, 6 February 2019

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে বিশ্ব ভালবাসা দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে অামাদের বর্ণিল সংগঠন-২০১৯

প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য কাঙ্ক্ষিত একটি দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি। ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ শিরোনামের এ দিনটিতে প্রিয়জনের সঙ্গে ‘রক্ত লাল’ গোলাপ দিয়ে চলে ভালোবাসা বিনিময়।এই ভালবাসা দিবসে বসন্তের রঙ এসেছে প্রকৃতিতে। প্রিয়জনকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটবে সবার।এরই মাঝে এবারের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটি ব্যতীক্রমভাবে উদযাপন করতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে ভালোবাসার গল্প বিনিময়ের ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন এর আয়োজন করতে যাচ্ছে অামাদের "#বর্ণিল" সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।অামরা বসন্তের রঙ ছড়িয়ে দিতে চাই সবার মাঝে।"সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে কাটুক আমার আপনার ভালবাসা দিবস" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অামরা ভালবাসা দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর,রমন,শাহবাগ,সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্পট ও পার্কগুলোতে অামাদের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য করা ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে থাকছে,
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতারণ।
-তাঁদেরকে বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তোলা।
-প্রত্যেকের জন্যে অাকর্ষনীয় গিফট এর ব্যাবস্হা।
-শিশুদের বিনোদন দিতে থাকবে খেলাধুলা সহ নানান অায়োজন।
-সবশেষে,তাঁদের সঙ্গে ভালোবাসার গল্প বিনিময় এবং অানন্দঘন কিছু সময় কাটিয়ে ওদের মুখে হাসি ফুটানো।

এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ অনুষ্ঠান।আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সমস্যাগুলোর কথা শুনতে চাই,জানতে চাই তাঁদের জীবনের গল্প।তাঁদের মাঝে ছড়াতে চাই ভালোবাসার ছোঁয়া।১৪ ফেব্রুয়ারীর একটি দিন অন্তত হাসি ফুটুক অবহেলিত শিশুর ঠোঁটে।এজন্যেই ব্যতিক্রমধর্মী অামাদের বর্ণিল সংগঠনের এই আয়োজন। 

বর্ণিল মেম্বাররা সংগঠন থেকে গৃহীত নির্ধারিত অর্থ,অামাদের অর্থ সম্পাদকের 
(০১৭২৪৬৩৯৬৭৪) পার্সোনাল বিকাশ উক্ত নম্বরে ১০/০৩/২০১৯ তারিখের ভিতরে পাঠানোর অনুরোধ রইল।

অার যারা নন মেম্বার তাঁরা অামাদের সাথে ১৪ ফেব্রুয়ারীর ইভেন্টে যোগদান করতে চাইলে এবং অামাদের বর্ণিল সংগঠন কিংবা উক্ত ইভেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে-০১৮১৫২৭৪৭২০ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
অথবা https://www.facebook.com/mdkaher.khan.75 এই id এর ইনবক্সে নক করে জানতে পারেন।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারীর ইভেন্টে অামাদের সাথে অংশগ্রহণ এবং অার্থিক সহায়তা করতে চাইলে -০১৭৬৬৪৮২৬৭০ পার্সোনাল বিকাশ এই নম্বরে টাকা পাঠাতে পারেন।

দ্বিতীয় কৈশোর(ওয়েব ফিল্ম)

পারসোনাল রেটিং-১০/৮.৩০
অামার মতে এটি কোনো নাটক কিংবা টেলিফিল্ম নয়।
এটি একটি ওয়েব ফিল্ম।
এটা নিয়ে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপ বেশ ভাল প্রচার করেছে।তাছাড়া এটি অন্যতম হট টপিক কেননা এখানে যে তিন.....একসাথে।

অাচ্ছা যদি বলিউডে তিন... খান মিলে যদি কখনো কোন মুভি করে তাহলে সেটা কেমন চিত্তাকর্ষণ হতো!
বলতে পারেন বাংলার ছোট পর্দার মোদের গরীবের তিন খান,নাট্যজগতে এই প্রথম তাঁদের তিনজনের একসাথে করা ওয়েব সিনেমা বা নাটক।

গল্পে দেখা যাবে ৩০+ বছরের ৩বন্ধুর জীবন কাহিনী,যেখানে ফিল্মের একপর্যায়ে এসে তাদের তিনজনের জীবনেই নেমে আসে তিন ধরণের বিপদ এবং এই বিপদের মোকাবেলার ভেতর দিয়েই এই তিনজনের গভীর কিছু উপলব্ধি হয়।এ নিয়েই নির্মিত হয়েছে দ্বিতীয় কৈশোর।
এ ফিল্মে কার কি রোল বা চরিত্র তা নিম্নে সংক্ষেপে বলছি,
#আফরান_নিশো:তাঁর অভিনয় সম্পর্কে কিছু বলার নেই...।বরাবরের মতো অসাধারণ অভিনয় করেছেন দ্বীতীয় কৈশোর ওয়েব ফিল্মে।
হঠাৎ করেই ১৫বছরের একটা মেয়ে এ জাবৎ কালে চেনা নাই জানা নাই বিদেশ থেকে এসে বলে "আপনি আমার বাবা", ঠিক তখন নিশো ভাইয়ের মুভমেন্ট এ ওয়েব সিনেমার সবথেকে ফ্যানি অংশ।কতবার যে এ সিনটি দেখেছি হিসেব নেই।এছাড়াও বিজনেসের শেয়ার ক্রয় নিয়ে সমস্যা, টাকার সংকট গার্লফ্রেন্ড এর সাথে বিয়ে এভাবেই গল্পটা এগোয়।
#জিয়াউক_হক_অপূর্ব: প্লেবয় এর ক‍্যারেক্টার আজ দিনা কাল মিনা পরশু রিনা তরশু টিনা অনলি রুম ডেটিং এ বিশ্বাসী,বিয়ে না করে ডেটিং করে বিন্দাস লাইফ কাটানোর ইচ্ছে!! 
যদিও বয়স ৩৫!!! তাতে কি? বিয়ের কথা শুনলেই গায়ে আগুন জ্বলে যায় এবং ঐটার চ‍্যাপ্টার ক্লোজড।
#তাহসান_খান:সেও প্লেহাজব‍্যান্ড রোলে আছে।তাঁর ওয়াইফ বেবী নিতে চায় বলে সারাক্ষণ চেঁচালেও সে নানাভাবে এড়িয়ে যায় এবং কখনোই রাজি হয় না।বেবী কে একটা ঝামেলা মনে করে। 
তাঁর ওয়াইফ বেবী নিবে কি নিবে না তা ভাববার জন্যে ৫দিন সময় দিলেও কোন সিদ্ধান্ত না জানিয়ে ওল্টো পাঁচ বছর সময় চায় এরই একপর্যায়ে তাহসানের ওয়াইফ তাঁকে না বলে বাপের বাড়ি যায়।
#আবুল_হায়াত: অপূর্ব এর সকল কাজের মেনটর সেই গার্লফ্রেন্ড এর সাথে ডেটিং থেকে চায়ের দুধ চিনির পরিমাণ এমনকি বডির পারফিউম পর্যন্ত। [আবুল হায়াত আছে অথছ স্ট্রোক করবে না এটা বেসম্ভব!! স্ট্রোকও আছে]
৫. নায়িকা:নায়করা অত্যাধিক জনপ্রিয় হলেও নাইকারা তেমন একটা না।যেমন-অামিই তাঁদের একজনকেও চিনি না।যাই হোক এ সিনেমার নাইকারা যে যার যায়গায় ভালো করেছ👍
***সিনেমাটিতে দেখা যাবে অপূর্ব, তাহসান ও নিশো ৩বন্ধু তাদের প্রতিদিনের আড্ডা এবং যাবতীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনার স্থান নিশোর কফিশপ। ৩ বন্ধুর আড্ডার বিষয়গুলো চরম মাত্রায় ইন্টারেস্টিং বটে👌

#শিহাব_শাহীন(পরিচালক)ঃতাঁকে নিয়ে কিছু বলার নেই অসংখ্য মাস্টারপিস নাটক টেলিফিল্ম ও একটি সিনেমাও পরিচালনা করেছেন (ছুঁয়ে দিলে মন).

যাই হোক এখন অাসি তাঁর দ্বিতীয় কৈশর ওয়েব ফিল্ম নিয়ে,প্রথম থেকেই ছবিটার মেকিং খুবই উঁচু পর্যায়ের।পরিচালক শিহাব শাহীন তার চিত্রগ্রাহকের সাথে খুবই ফ্লুয়িড স্টাইলে ছবিটা শুট করেছেন যেটার কারনে প্রত্যেকটা সিকুয়েন্স আপনি পছন্দ করবেন।কোথাও মনে হবে না গল্প আটকে গেছে।এই শুটিং স্টাইল প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। শুটিং স্টাইল বাজে হওয়ার দরুন অনেক গল্প রুপালী পর্দায় মার খেয়ে যায়। দেখতে ভাল লাগে না। কিন্তু এই ব্যাপারে শিহাব শাহীন প্রচণ্ড পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। এছারা ছবির সংলাপ বেশ কার্যকারী ও মানানসই। এবং ছবির দুই তৃতীয়াংশ পরিচালক বেশ শক্তভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন। একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে কাহিনী যদিও একটু গুবলেট হয়ে গেলেও সবমিলিয়ে বেশ ভালো হইছে।

অামার মতে দ্বিতীয় কৈশোর ওয়েবফিল্মটি ৮০% মুভির মতো করে তৈরী হয়েছে এন্টারটেইনমেন্ট এর প্রচুর ইলিমেন্ট রয়েছে।
২০% কমতি বলতে কয়েকটা গান,ভিলেন নেই এবং অনলাইন রিলিজ (Bioscope).
পরিচালক ইচ্ছা করলেই আরেকটি মাস্টারপিস বাংলা মুভি উপহার দিতে পারতো "ছুঁয়ে দিলে মন" এর মতো।

সবশেষে বলবো,যারা আর্টফিল্ম এবং ব‍্যতিক্রমধর্মী মুভি দেখে তাদের জন‍্য রেটিং ১০/১০😇
অার যারা অবিবাহিত যুবক তাঁরা এ ওয়েবফিল্মটি দেখে বেশি মজা পাবেন বলে মনে হয়।