এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে ৭০০০ বছর বা তারও বেশি এবং কিয়ামতের ময়দানে অাল্লাহ পাক অামাদের জাহান্নামে ফেলে দিবে।কিয়ামতের ময়দানে সর্বপপ্রথম নামাজের হিসাব চাইবে, যে ব্যাক্তি নামাজ পড়ে না তার অন্যান্য ইবাদাতও কবুল হয় না।এরকম অনেক ওয়াজ-নসীহত,মসজিদে খুৎবায়,তাবলিগ ভাইদের তালীমে সহ অন্যান্য ভাবে এ সম্পর্কে শুনি নাই এরকম মুসলিম কমই অাছে।যখন এসব নসীহত বা বয়ান শুনি তখন অামরা কিছুটা অনুতপ্ত হই,কেউ কেউ কাঁদে অাবার কেউ কাঁদার ভান করে,এখন অানার প্রশ্ন হলো তাই বলে কী সকল মুসলনানই নামাজ অাদায় করে?যদি করতই তাহলে পাড়া বা মহল্লায় পুরুষ মুসল্লি যদি থাকে ১০০-১৫০ তাহলে নামাজে পাওয়া যায় ৩০-৫০ জন অানুমানিক।অথচ শবে-বরাত,কদ্বর,দুই ইদের নামাজ,প্রথম কয়েক রোযায় এবং জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের এতো সমাগম হয় যে মসজিদে তাদের বসার জায়গা থাকে না কিন্তু ওয়ক্তের নামাজে মুসল্লিদের খুঁজেও পাওয়া যায় না।
অবস্থাটা এরকম অাপনি যদি যেকোন মুমিন মুসলমানকে প্রশ্ন করেন যে নামাজ পড়া ভাল না খারাপ সকলেই এক বাক্যে বলবে হ্যাঁ ভাল।তাই বলে কী সকলেই নামাজ পড়ে,না পড়ে না।
এখন অামাদের এরূপ অবস্থা হওয়ার কারনটা হল, অামদের দুনিয়ার প্রতি অাকর্ষন বেশি।দুনিয়ায় কিসে লাভ অার কিসে লোকসান সেদিকেই সর্বদা দৃষ্টি অামাদের।অামরা অখিরাতে জন্নাত পাবার চেয়ে দুনিয়ায় কীভাবে শান্তি পাব সে চিন্তাই বেশি।
অতএব ডাক্তার যেভাবে রোগ বুঝে চিকিৎসা করে,ঔষধ দায়।আমিও সেরকম অামাদের ব্যাধি অনুযায়ী ভিন্ন ভাবে নামাজের উপকারিতার কথা বলব।নামাজ পড়লে এবং না পড়লে পরকালে কী হবে অার না হবে সে কথা বলব না কারন সে ওয়াজ অামরা অনেক শুনেছি অার অামাদের পরিবর্তনও বা কতটুকু হয়েছে তা উপরেই বলেছি।
এখন অাপনাদের বলব নামাজ পড়লে দুনিয়ায় কী কী লাভ হবে সে সর্ম্পকে,তাহলে জানুন নামজের ১১ টি অসাধারন সাস্থ্য উপকারিতাঃ
১.নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন অমাদের মস্তিকের রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়।ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।
২.জায়নামাজে যখন অামরা দাড়াই তখন অামাদের চোখ জায়নামাজের সামনে একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩.নামাজের মাধ্যমে অামাদের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়।এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।
৪.নামাজের মাধ্যমে অামাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন অাসে।
৫.নানাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে।ফলে শারীরিক বিকলাঙ্গতা লোপ পায়।
৬.নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন অামাদের ওজুর সময় অামাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে অামরা বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে নিরাপদ থাকি।
৭.নামাজে ওজুর সময় মুখমণ্ডল ৩ বার ধৌত করার ফলে অামাদের মুখের ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
৮.ওজুর সময় মুখমণ্ডল যেভাবে পরিষ্কার করা হয় তাতে অামাদের মুখে এক প্রকার মেসেজ তৈরি হয় ফলে অামাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।
৯.কিশোর বয়সে নামাজ অাদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা রকম অসামাজিক কাজ থেকে সে বিরত থাকে।
১০.নামাজ অাদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১.কেবল মাত্র নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই চোখের নিয়মিত যত্ন নেওয়া হয়।ফলে অধিকাংশ নামাজ অাদায়কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।
No comments:
Post a Comment