#'দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙ্গে যায়'
অনেক মানুষ মনে করেন পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
কিন্তু ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেন, দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভাঙ্গে না।
শাব্বির হাসান বলেন, অনেক মানুষ অতি সাবধানী।
তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি,- "সবচেয়ে ভালো পরামর্শ অল্প পরিমাণ পেস্ট নিন। মিন্টের গন্ধ কম এরকম পেস্ট ব্যবহার করুন।"
ভয় পেলে, গাছের সরু ডাল থেকে তৈরি মিসওয়াক বা দাঁতন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
#'মুখের লালা পেটে ঢুকলে রোজা থাকে না'
#'মুখের লালা পেটে ঢুকলে রোজা থাকে না'
ব্রিটেনে অ্যাডভান্সড ইসলামি বিজ্ঞান এবং শারিয়া আইনের ছাত্র শাব্বির হাসান বলছেন, মুখের লালা পেটে ঢুকলে কোনো অসুবিধা নাই।
"মুখের লালা পেটে ঢুকলে রোজা থাকে না- এই বিশ্বাসের কোনো ভিত্তি নেই, নিজের লালা গলাধঃকরণ করা খুব স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া, এতে অবশ্যই রোজা ভাঙ্গে না।" তিনি বলেন, বরঞ্চ ইসলামে রোজার সময় মুখের লালা খাওয়া উৎসাহিত করা হয়েছে।
তবে, তিনি বলেন, অন্যের মুখের লালা নিজের মুখে ঢুকলে রোজা থাকবে না।
"রোজা পালনের সময় আপনি আপনার সঙ্গীকে চুম খেতে পারবেন না, অন্তরঙ্গ হওয়া যাবেনা। মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে আপনার আকাঙ্ক্ষাকে সংযত করা। সে কারণেই খাবার, পানীয় বা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বন্ধ রাখতে হবে।"
লালা পেটে গেলে রোজা যাবে এ ধারণাটি অামারও ছোটবেলায় ছিলো,তখন রোজা রাখা অবস্হায় যেখানে যেতাম বা অবস্হান করতাম সেখানে মুখের লালা ফেলে চারপাশ নোংরা করে ফেলতাম এবং যখন দেখতাম অামার চারপাশ লালায় ভরে গেছে তখন কেউ যাতে এটি না দেখে বা ঢাক লইতে না পারে সেজন্যে পা দিয়ে অাবার সব লালা লেপ্টে দিতাম,অার এদিকে গলা শুকিয়ে শুকনো কাঠ হয়ে যেতো এবং তখন খুব কষ্টও হতো।অাশা করি অামার ছোটবেলার সেই বোকামি ও ভুল ধারণা নিয়ে এরূপ নিজেও করবেন না অন্যকেও এ বিষয়ে সচেতন করে তুলবেন।
#'শুধু খাবার অথবা পানি না খেলেই রোজা কবুল হয়ে যাবে'
লালা পেটে গেলে রোজা যাবে এ ধারণাটি অামারও ছোটবেলায় ছিলো,তখন রোজা রাখা অবস্হায় যেখানে যেতাম বা অবস্হান করতাম সেখানে মুখের লালা ফেলে চারপাশ নোংরা করে ফেলতাম এবং যখন দেখতাম অামার চারপাশ লালায় ভরে গেছে তখন কেউ যাতে এটি না দেখে বা ঢাক লইতে না পারে সেজন্যে পা দিয়ে অাবার সব লালা লেপ্টে দিতাম,অার এদিকে গলা শুকিয়ে শুকনো কাঠ হয়ে যেতো এবং তখন খুব কষ্টও হতো।অাশা করি অামার ছোটবেলার সেই বোকামি ও ভুল ধারণা নিয়ে এরূপ নিজেও করবেন না অন্যকেও এ বিষয়ে সচেতন করে তুলবেন।
#'শুধু খাবার অথবা পানি না খেলেই রোজা কবুল হয়ে যাবে'
শুধুমাত্র খাবার মুখে দিলে বা পানি পান করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে তাই নয়। আরো কিছু আচরণে রোজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ইসলামি অালেম ওলামা ও দায়ী বিশেষজ্ঞদের মতে"কিছু অপরাধ জিহ্বা দিয়ে হয়...আপনি যদি দুর্নাম রটান, গুজবে অংশ নেন বা কাউকে গালিগালাজ করেন, তাহলে রোজা কবুল নাও হতে পারে।"
অামার জানা মতে এক লোক রয়েছে সে রোজা রেখে সিগারেট খায়,তাঁকে সিগারেট খেতে কেউ বারণ করলে সে বলে অামি তো কোন কিছু পান বা খাদ্য গ্রহণ করছি না,,কি অাজব....
অাবার কিছু মানুষ অাছে যারা রোজা রেখে টিভি বা মোবাইলে হিন্দি,ইংলিশ গান থেকে শুরু করে সবই দেখে....
এতে রোজা মাকরুহ অনেক ক্ষেত্রে রোজা কবুল নাও হতে পারে।
#'অসাবধানতা-বশত কিছু খেয়ে ফেললে রোজাভেঙ্গে যায় '
আপনি যদি সত্যিই একদম ভুলে কিছু খেয়ে ফেলেন, তাহলেও আপনার রোজা বৈধ থাকবে, যদিনা আপনি বোঝার সাথে সাথে খাওয়া বন্ধ করে দেন।
কিন্তু নামাজের আগে ওজুর সময় যদি আপনি অনিচ্ছাকৃত-ভাবে পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ এই ভুল এড়ানো সম্ভব।
অামার জানা মতে এক লোক রয়েছে সে রোজা রেখে সিগারেট খায়,তাঁকে সিগারেট খেতে কেউ বারণ করলে সে বলে অামি তো কোন কিছু পান বা খাদ্য গ্রহণ করছি না,,কি অাজব....
অাবার কিছু মানুষ অাছে যারা রোজা রেখে টিভি বা মোবাইলে হিন্দি,ইংলিশ গান থেকে শুরু করে সবই দেখে....
এতে রোজা মাকরুহ অনেক ক্ষেত্রে রোজা কবুল নাও হতে পারে।
#'অসাবধানতা-বশত
আপনি যদি সত্যিই একদম ভুলে কিছু খেয়ে ফেলেন, তাহলেও আপনার রোজা বৈধ থাকবে, যদিনা আপনি বোঝার সাথে সাথে খাওয়া বন্ধ করে দেন।
কিন্তু নামাজের আগে ওজুর সময় যদি আপনি অনিচ্ছাকৃত-ভাবে
"এ কারণে রোজা রেখে অজু করার সময় গারগল না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি শুধু কুলি করে পানি ফেলে দিন।"
এই ভুলটি ছোটবেলায় খুব হতো সারাদিন কষ্ট করে রোজা রাখতাম অার শেষ বিকালে মনের ভুলে কিছু খেয়ে ফেলতাম অার রোজা ভেঙ্গে গেছে এটি মনে করে অাফসোস ও মন খারাপ করে রোজা ভেঙ্গে খাবার খেতাম।
তাই যারা জানেন তাঁরা নিজেরা এবং অন্যকেও এ বিষয়ে অবগত করে উক্ত ভুল থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন।
#'ওষুধ খাওয়া যাবে না'
এই ভুলটি ছোটবেলায় খুব হতো সারাদিন কষ্ট করে রোজা রাখতাম অার শেষ বিকালে মনের ভুলে কিছু খেয়ে ফেলতাম অার রোজা ভেঙ্গে গেছে এটি মনে করে অাফসোস ও মন খারাপ করে রোজা ভেঙ্গে খাবার খেতাম।
তাই যারা জানেন তাঁরা নিজেরা এবং অন্যকেও এ বিষয়ে অবগত করে উক্ত ভুল থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন।
#'ওষুধ খাওয়া যাবে না'
মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন (এমসিবি) আন্তর্জাতিক গ্লুকোমা সমিতির সাথে যৌথ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে- রোজা রেখেও কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। যেমন, চোখের ড্রপ।
এমসিবি বলেছে, চোখের ড্রপ, কানের ড্রপ বা ইনজেকশনে রোজা ভাঙবে না।
তবে যেসব ওষুধ মুখে দিয়ে খেতে হয়, সেগুলো নিষিদ্ধ । সেহেরির আগে এবং ইফতারির পর তা খেতে হবে।
মি: হাসান বলেন, "প্রথম কথা আপনি যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলে ভাবেতে হবে আপনি রোজা আদৌ রাখবেন কিনা?"
"কোরানে পরিস্কার বলা আছে, আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলুন।"
তাই বলে সামন্য সর্দি জ্বর এরূপ কিছু হলেই সুতো পেয়ে নিজ থেকে ইচ্ছে করে রোজা ভাঙ্গবেন না।
#'যে কোনো পরিস্থিতিতেই রোজা রাখতে হবে'
ইসলামে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক (সাধারণত ১৫ বছর) এবং সুস্থ ব্যক্তির রোজা ফরজ বা আবশ্যিক করা হয়েছে।
তাই বলে সামন্য সর্দি জ্বর এরূপ কিছু হলেই সুতো পেয়ে নিজ থেকে ইচ্ছে করে রোজা ভাঙ্গবেন না।
#'যে কোনো পরিস্থিতিতেই রোজা রাখতে হবে'
ইসলামে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক (সাধারণত ১৫ বছর) এবং সুস্থ ব্যক্তির রোজা ফরজ বা আবশ্যিক করা হয়েছে।
এমসিবি বলছে - শিশু, অসুস্থ (শারীরিক এবং মানসিক), দুর্বল, ভ্রমণকারী, অন্তঃসত্ত্বা বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীর জন্য রোজা আবশ্যিক নয়।
"যদি স্বল্প সময়ের জন্য কেউ অসুস্থ হন, তাহলে সুস্থ হওয়ার পর অন্য সময়ে তিনি ভাঙ্গা রোজাগুলো পূরণ করে দিতে পারেন, " মি হাসান বলেন।
"যদি দীর্ঘস্থায়ী কোনো অসুস্থতা থাকে এবং রোজা রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে রোজার মাসের প্রতিদিন ফিদা অর্থাৎ গরীবকে কিছু দান করুন।" ব্রিটেনে এই ফিদার পরিমাণ নির্ধারিত করা হয়েছে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ পাউন্ড।
আফসোস
অধিকাংশ গার্ডিয়ান পড়ালেখার জন্য সন্তানদের রোযা রাখতে দেন না।
আর পরিক্ষা চললে তো কথাই নেই।অাফসোস.....
আফসোস
অধিকাংশ গার্ডিয়ান পড়ালেখার জন্য সন্তানদের রোযা রাখতে দেন না।
আর পরিক্ষা চললে তো কথাই নেই।অাফসোস.....
No comments:
Post a Comment